নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেএমবি ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সুফিয়া বেগম নামে এক মা। তিনি আড়াইহাজার টেকপাড়া গ্রামের বেনজির আহমেদের স্ত্রী ও পলাতক জেএমবি জুবায়ের হোসেনের মা। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন ওই মামলায় সুফিয়া বেগমসহ ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় আদালতে জেএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাই গ্রুপের ১৩ সহযোগীকে আদালতে কঠোর পুলিশ প্রহরায় হাজির করা হয়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সালের ১০ অক্টোবর রাত ৩টায় আড়াইহাজার উপজেলার কালীবাড়ি ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে ট্রাকযোগে ১৫-২০ জন দুষ্কৃতকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করে তার কাছ থেকে একটি রাইফেল লুটে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। এরপর এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফেলে যায়। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে জেএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাই গ্রুপের মশিউর রহমান, আতিকুর রহমান, মাসুম মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম ওরফে রফিকুল ওরফে রোমান, জিয়ারুল ইসলাম তানভির, জিয়ারুল ইসলাম ওবায়দা, এনায়েত উল্লাহ জুয়েল, সাত্তার ওরফে হাসিবুল, মুসা ওরফে আ. ছাদেক, সালাউদ্দিন, শফিক, জুবায়ের হোসেন (পলাতক), তৈয়বুর রহমানসহ ১৪ সহযোগীর সন্ধান পায় পুলিশ।
তারা ওই রাতে রূপগঞ্জ সাওঘাট এলাকায় ব্র্যাক অফিসে ডাকাতি করে যাওয়ার পথে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। প্রসিকিউটর আরও জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের মামলায় পলাতক জেএমবি জুবায়ের হোসেনের মা সুফিয়া বেগমসহ ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। ঘটনার পর সকালে জুবায়ের তার বন্ধু জেএমবি দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাসা থেকে পালিয়ে যায়। আদালত এ মামলায় আগামী ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন।